দাবি পূরণ হওয়ার পরেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কার স্বার্থে সে প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (পহেলা আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমদিন কৃষক লীগের আলোচনা সভায় এই প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনে ঢুকে জামায়াত-জঙ্গিরা হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তদন্তের মাধ্যমে এসব হত্যা ও সহিংসতার বিচার নিশ্চিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ছাত্রদের আন্দোলনে ঢুকে নৈরাজ্য করেছে সন্ত্রাসীরা। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করা হবে।
জামাত-শিবিরকে জঙ্গিবাদী সংগঠন আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য তাদের নিষিদ্ধ করা হবে। আগামীতে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে তারা যাতে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কাজ করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে অতীতের মতো তাদের ভয়ানক রূপ দেখিয়েছে।
এসময় মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। পরে কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।